আপনি যদি সত্যিকার অর্থে বইটি পড়ে গণিত শিখতে চান, তাহলে পা্টিগণিত পড়ার সময় পাটিগণিতের অধ্যায়গুলো ক্রমানুসারে পড়বেন।
কারণ অনেক ক্ষেত্রেই একটি অধ্যায়ের সাথে অন্য এক বা একাধিক অধ্যায়ের
করলে পরের অধ্যায়গুলো আপনার কাছে কঠিন মনে হতে পারে অথবা আপনি
এমনভাবে বিন্যন্ত করেছি, ক্রমান্বয়ে পড়লে আপনার কাছে কঠিন মনে হবে না।

প্রতিটি অধ্যায় পড়া শুরু করার সময় একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হচ্ছে করবেন। মনে রাখবেন আমরা প্রতিটি শব্দে, বাক্যে অসাধারণ সব বেসিক যুক্ত করেছি। ধরুন আপনি একটা অংশ বাদ দিয়ে পড়া শুরু করলেন, দেখা গেল
যে এ অধ্যায়ের মূল বেসিকটাই আপনি বাদ দিয়ে দিয়েছেন। ফলাফল এ অধ্যায়টি পড়ে আর মজা পাবেন না, সব গণিত কঠিন লাগতে শুরু করবে।
আমাদের আসল নসিহত হচ্ছে, আপনি গণিতে দুর্বল হলে বইয়ের একটি লাইনও মিস করবেন না৷

ও প্রথমবার বিস্তারিত পড়ার পর আপনার বেসিক ৫৬ হয়ে যাবে, পরে আর বিস্তারিত পড়তে হবে না। আমরা প্রতিটি টপিক সাজানোর সময় একটি দারুণ
বিন্যাস অনুসরণ করেছি। সেটি হচ্ছে বেসিক নিয়ে আলোচনার মাঝেই আপনাকে ধাপে ধাপে শর্টকাট আলোচনায় নিয়ে যাওয়া হবে। আপনি হয়ত টেরও পাবেন না, আপনি কখন শর্টকাট আলোচনার জগতে প্রবেশ করেছেন। আলোচনা শেষে আপনার মাঝে একটি অন্য রকম মেথড ঘুরপাক খাবে, যাকে আমরা শর্টকাট মেথড বলছি। এই শর্টকাট মেথড তথাকথিত শর্টকাট নয়, বেসিক থেকে শর্টকাট!

বইয়ের অভিনব সংযোজন হচ্ছে জেনে নিন’ অংশ এই অংশে আমরা প্রতিটি নতুন সমস্যার বেসিক নিয়ে কথা বলেছি। যারা গণিতে দুর্বল তাদের জনয” এই অংশ এনটিবায়োটিকের মত কাজ করবে। তাই এই অংশ মিস্‌ যাবে লা, অবশ্যই: অবশ্যই পড়বেন।

পরিশেষে প্রতিটি অধ্যায় পড়ার একটি সহজ গাইডলাইন হচ্ছে- প্রথমে ‘বেসিক , কউ ও লিখি আলোচনা জং গর, তারার নর বই আলোচনা পড়ুন এবং এবং সবার শেষে শুধু লিখিত আলোচনা পড়ুন।